• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

হাজীগঞ্জে এমরানের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ:  ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

হাজীগঞ্জে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে প্রবাসী এমরান হোসেনকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্বজনসহ গ্রামবাসী। ১৪ অক্টোবর শনিবার শনিবার বিকেলে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের সামনে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে মানববন্ধনে অন্যদের সাথে নিহত এমরানের ও জেলে থাকা এমরানের স্ত্রী ফারজানার একমাত্র পুত্র সন্তান অংশ নেন।
কয়েকশ’ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে উক্ত মানববন্ধনে নিহতের খুনি আশেক এলাহী বাবু ও ফারজানা আক্তারসহ অন্য আসামিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করা হয়।
নিহত এমরানের বড় ভাই আব্দুল কাইয়ুম মানববন্ধনে বলেন, ছোট ভাই ইমরানকে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে খুনি আশেক এলাহী ও ফারজানা আক্তার। ইতিমধ্যে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তারা যেন কোনোভাবেই আইনের ফাঁকে পার পেয়ে না যেতে পারে, সেজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি। একই সাথে খুনিদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে ফাঁসি দেয়া হোক। এ সময় নিহত এমরানের মা, বোন, একমাত্র সন্তানসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর রোববার হাজীগঞ্জ বাজারে ট্রাক রোডে একটি ভবনের ভাড়াবাসায় সৌদি প্রবাসী এমরান হোসেনকে জবাই করে হত্যা করে স্ত্রী ফারজানার কথিত পরকীয়া প্রেমিক আশেক এলাহী বাবু। পরের দিন নিহতের বোন রিনা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এমরান ফরিদগঞ্জ উপজেলার  লক্ষ্মীপুর গ্রামের দালাল বাড়ির আবুল বাসারের পুত্র। দুই মাস পূর্বে তিনি দেশে আসেন। ওই ভাড়া বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। ১৮ অক্টোবর সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে তার। খুনি বাবু শাহরাস্তি উপজেলার আজাগরা গ্রামের সৈয়দ বাড়ির সন্তান।
নিহতের পরিবার জানান, ফারজানার সাথে এমরান বিয়ে হয় দশ বছর পূর্বে। স্বামীর প্রবাসে থাকার সুযোগে আপন বড় বোনের দেবর আশেক এলাহীর সাথে দু’বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে স্ত্রী ফারজানার। কয়েক মাস পূর্বে স্বামী স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায় ফারজানা।
স্বামীর চাপে পড়ে ফারজানার বাবা ঝাকনীর জসিম উদ্দিন তার মেয়েকে পুলিশের সহযোগিতায় ঢাকা মিরপুর থেকে পরকীয়া প্রেমিকের কাছ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেয়। স্বামী একমাত্র সন্তান আফনানের দিকে তাকিয়ে সব কিছু মানিয়ে নেন। স্ত্রীকে বিশ্বাস করে এই মানিয়ে নেয়াটাই যেন কাল হলো এমরানের।