• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর সদর আসনে ডাঃ দীপু মনির আবারো চমক

চাঁদপুর সদর ও হাইমচরের সর্বত্র আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

প্রকাশ:  ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সকল ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা  প্রপাগান্ডাকে নস্যাৎ করে দিয়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবারো চাঁদপুর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ সংবাদে চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর শহর ও হাইমচরে নেতা-কর্মীদের মাঝে বাঁধভাঙ্গা আনন্দ বয়ে যায়। এই আনন্দের জোয়ারে সর্বত্র মিষ্টি বিতরণ ও মিছিল হয়েছে। এসব আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ উৎসবে সাধারণ জনগণও অংশ নেয়।
চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনটি স্বাধীনতার ৩৩ বছর পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ফিরে পায়। মিজানুর রহমান চৌধুরীর পর এই আসনটি টানা ৩৩ বছর আওয়ামী লীগের বাইরে ছিল। ডাঃ দীপু মনির হাত ধরে আসনটি ফিরে পায় আওয়ামী লীগ। সে নির্বাচনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক এমপি জিএম ফজলুল হককে প্রায় ২০ হাজার ভোটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ডাঃ দীপু মনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সে সরকারের মন্ত্রীসভায় দীপু মনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এটা ছিল রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের একটি চমক এবং ম্যাসেজ। দীপু মনিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। তিনি একের পর এক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সামনে এগুতে থাকেন। এরপরের নির্বাচনেও তিনি দলের মনোনয়ন পান। তখন এই আসনে দীপু মনি যেনো মনোনয়ন না পান সে জন্য নানা ষড়যন্ত্র করা হয়। কিন্তু কোনো লাভ হয় নি। শেখ হাসিনা দীপু মনিকেই মনোনয়ন দেন। সে সময়কার সরকারে দীপু মনি মন্ত্রীত্ব না পেলেও দলে তাঁর গুরুত্ব কোনো অংশে কমে নি। একইসাথে তাঁর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কোনো ছেদ পড়ে নি। তাঁর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নসহ দলের জন্য তাঁর কাজ চলতে থাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর হাত ধরে সমুদ্র বিজয় ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য বিশাল এক সাফল্য। আবার দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ কাজও করে যেতে থাকেন। টানা দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকার পর আসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আবারো দীপু মনির আসন নিয়ে ষড়যন্ত্র। এবারো কোনো ষড়যন্ত্র টেকেনি। টানা তৃতীয়বার দলের মনোনয়ন পান দীপু মনি। তৃতীয়বার সংসদ সদস্য হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে দীপু মনিকে দায়িত্ব দেয়া হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ আরেকটি চমক। প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী পায় চাঁদপুরবাসী। দীপু মনির সাফল্যের পাল্লা ভারী হতে থাকে। তাতে হিংসাপরায়ন লোকগুলোর হিংসা এবং ষড়যন্ত্রের মাত্রা বেড়ে যায়। টানা তিন মেয়াদে তিনি চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেন। এবার বলতে গেলে সরকারের শুরু থেকেই শুরু হয় ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্রকারীরা আঁটঘাট বেঁধে নামে দীপু মনি ঠেকাও মিশনে। দলের কিছু জনবিচ্ছিন্ন নেতার সাথে প্রশাসনিক ষড়যন্ত্রও এবার যোগ হয়। সাথে আরো যোগ দেয় সবসময় নেতিবাচক মনোভাব পোষণকারী কিছু মিডিয়া। সবশেষে তারা পরাস্ত হয়। সকল ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা  প্রপাগান্ডাকে নস্যাৎ করে দিয়ে শেখ হাসিনা তাঁর পরীক্ষিত নৌকার মাঝি ডাঃ দীপু মনির হাতেই নৌকার বৈঠা তুলে দেন। আর তাতেই নেতা-কর্মীদের মাঝে বাঁধভাঙ্গা আনন্দ দেখা দেয়।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরে আনন্দ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডেও আনন্দ মিছিল এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এসব আনন্দ মিছিলে সাধারণ মানুষও অংশ নেয়।