• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরের পাঁচটি আসনেই নৌকার জয়-জয়কার

প্রকাশ:  ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর জেলার পাঁচটি আসনেই নৌকার প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। তাঁরা হলেন চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে ড. সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ) আসনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর সদর-হাইমচর) আসনে ডাঃ দীপু মনি, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। এ ৫টি আসনের কয়েকটি আসনের বিজয়কে অবিস্মরণীয় বিজয় বলা যায়। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে ডাঃ দীপু মনি, মুহম্মদ শফিকুর রহমান এবং মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম টানা জয় পেলেন। এঁদের মধ্যে ডাঃ দীপু মনি ও মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম টানা চারবার, আর মুহম্মদ শফিকুর রহমান টানা দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। অপর দুইজনের মধ্যে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে ড. সেলিম মাহমুদ এই প্রথমবারের মতো নির্বাচন করেন এবং প্রথমবারই তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আর মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম মাঝখানে বিরতি দিয়ে এবার নির্বাচনে অংশ নেন এবং তিনি জয়লাভ করেন।
এদিকে পাঁচটি আসনের মধ্যে চাঁদপুর-২ ও চাঁদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছেন। তাঁরা আসমান-জমিন ফারাক ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হারিয়ে জয়লাভ করেন।
চাঁদপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৯ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৩৫ ভোট। জয়-পরাজয়ের ব্যবধান হচ্ছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬৪ ভোট।
চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডাঃ দীপু মনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ১৬৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া পেয়েছেন মাত্র ২৪ হাজার ১৯৭ ভোট। ডাঃ দীপু মনি ৮৩ হাজার ৯৬৯ ভোটের বিশাল ব্যবধানে শামছুল হক ভূঁইয়াকে পরাজিত করে বিজয়ী হন। এই আসনে মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৮। যা মোট ভোটের হিসেবে ২৯%।
এদিকে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে ত্রিমুখী ভোট যুদ্ধ হয়। অবশেষে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বিজয়ের হাসি হাসেন। এই আসনে মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ৪৪ হাজার ৮১৩ ভোটের ব্যবধানে ঈগলের প্রার্থী গাজী মাঈনুদ্দীনকে হারিয়ে জয়লাভ করেন। এই আসনে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সফিকুল আলম পেয়েছেন ২২ হাজার ২৬৪ ভোট।
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে ড. সেলিম মাহমুদের বলতে গেলে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই ছিল না। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ার প্রতীকের ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ সেলিম প্রধান পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ৭৭৯ ভোট। আর ড. সেলিম মাহমুদ পেয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৩০৭ ভোট।
এই নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় চাঁদপুর-৪ তথা ফরিদগঞ্জ আসনে। এই আসনে ৯জন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় তিনজনের মধ্যে। মুহম্মদ শফিকুর রহমান (নৌকা), ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া (ঈগল) ও জালাল আহমেদের (ট্রাক) মধ্যে হয় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। টান টান উত্তেজনা আর সকল শঙ্কা এবং জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমান বিজয়ের হাসি হাসেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সাংবাদিক শফিকুর রহমান ১ হাজার ৩৩ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৪২৫ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল আহমেদ পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৬০ ভোট। এছাড়া বিএনএম তথা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শাহজাহান পেয়েছেন ১ হাজার ৭৪ ভোট।

 

সর্বাধিক পঠিত