দীর্ঘ বিরতির পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
প্রথম চালানে এলো ৩১৫ মেট্রিকটন, দ্বিতীয় চালানে ১০৬


বর্তমান দেশে চালের অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ চার মাস পর আবারও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত থেকে শনিবার (২৩ আগস্ট) রাত পর্যন্ত প্রথম চালানে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ৯টি ট্রাকে মোট ৩১৫ মেট্রিক টন ও দ্বিতীয় চালানে ৩ টি ট্রাকে ১০৬ মেট্রিক টন মোটা চাল দেশে প্রবেশ করেছে। দুই চালানে দেশে প্রবেশ করেছে ১২ টি ভারতীয় ট্রাকে ৪২১ মেট্রিক টন চাল। কিন্তু ভারত থেকে প্রবেশকরা চাল এর ছাড়পত্র জন্য বেনাপোল থেকে কোন সি এন্ড এফ এজেন্ট কাগজপত্র দাখিল করেনি।
তাদের কাগজপত্র আজ দাখিল করার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তীতে বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স এর মাধ্যমে চালগুলোর ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে। বেনাপোল আমদানি রপ্তানি কারকের সভাপতি মহসিন মিলন জানিয়েছেন, চালবাহী আরও কয়েকটি ট্রাক বর্তমানে ভারতের পেট্রাপোলে অপেক্ষমাণ রয়েছে। এসব চালান দ্রুত ছাড় হলে বাজারে সরবরাহ বাড়বে এবং দামের ওপর তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে বলে আশা করছেন তারা। তবে উচ্চ শুল্কহার না কমানোয় আমদানির পরিমাণ সীমিত থাকার শঙ্কাও রয়েছে। আমরা দ্রুত কাগজপত্র সাবমিট করে চালগুলো বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করা হবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ভারত থেকে ৩১৫ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশে প্রবেশ করে ও আজ শনিবার রাতে ১০৬ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরের প্রবেশ করে।৩১ নম্বর ট্রান্সমিট ইয়ার্ডে এই চাল গুলো রক্ষিত আছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর অনেক প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। ইতিমধ্যে নতুন চালান আসতে শুরু করেছে। রোববার থেকে আরও চাল দেশে প্রবেশ করবে।
জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চাল আমদানির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২ হাজার ৫৮৪ শতাংশ। গত বছর যেখানে আমদানি হয়েছিল মাত্র ২৫.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চাল, সেখানে এ বছর তা দাঁড়িয়েছে ৬৮২.৪ মিলিয়ন ডলারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ উদ্যোগে দেশের বাজারে চালের সরবরাহ বাড়বে এবং দামের চাপ অনেকটাই কমবে। ব্যবসায়ীদের ধারণা, বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে। বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক কাজি রতন বলেন, পেট্রাপোল বন্দর হয়ে দুটি চালানে ১২ টি ট্রাকে মোট ৪২১ মেট্রিক টন মোটা চাল দেশে প্রবেশ করেছে। আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছি, যাতে দ্রুত চাল ছাড় করে বাজারে সরবরাহ দেওয়া যায়