কেন্দ্র ঘোষিত ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে
চাঁদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল


কেন্দ্র ঘোষিত ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ এর আয়োজন করা হয়। পরে বাসস্টেশন থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহরের মিশন রোড়, হাজী মহসিন রোড়, নতুন বাজার হয়ে বাইতুল আমিন চত্তর সহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাঁদপুর হাসান আলী মাঠে গিয়ে মিছিল শেষ হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরার সদস্য, জেলা জামায়াতের আমীর ও ফরিদগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী। তিনি বলেন, “পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কালো টাকার বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। জনগণের কাঙ্ক্ষিত অধিকার ফিরিয়ে দিতে হলে পিআর পদ্ধতি মেনে নিতে হবে। স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। জামায়াত ইসলাম কারও রক্তচক্ষুকে ভয় করে না।”
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাও: আব্দুর রহিম পাটওয়ারী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ও সদর-হাইমচর আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাড. শাহাজান মিয়া। তিনি বলেন, “যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তারাই পিআর নির্বাচন নিয়েও ষড়যন্ত্র করছে। জুলাই শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না। আমরা ভোটাধিকার নিয়েই বাড়ি ফিরব। বক্তারা বলেন, জামায়াত এদেশে ভেসে আসা দল নয়। তাই জামায়াতকে বাদ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেবে না। তারা স্বৈরশাসনের বিচার, জাতীয় পার্টির নিষিদ্ধকরণ এবং পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি জানান। এ সময় যারা পিআর পদ্ধতি বুঝেনা তাদেরকে পিআর পদ্ধতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।
শহর জামায়াতের আমীর এড: শাহজাহান খান এর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের চাঁদপুর শহর শাখার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা জামায়াতে আমীর মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী, সহকারী সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ, শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম সবুজ ।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পিআর পদ্ধতি অপরিহার্য। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে দেশ পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেন তারা। সমাবেশে উত্থাপিত পাঁচ দফা দাবি হলো— ১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন। ২. জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু। ৩. সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। ৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার। ৫. জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাসান আলী মাঠে গিয়ে শেষ হয়।