• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা

লক্ষ্য একটাই-শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী, তার জন্যে চাই চাঁদপুরের পাঁচটি আসনে বিজয়

প্রকাশ:  ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ বিশেষ বর্ধিত সভা করেছে। চাঁদপুর ক্লাব মাঠে গতকাল শনিবার সকালে এ বর্ধিত সভা শুরু হয়ে একটানা বিকেল তিনটা পর্যন্ত চলে। সভায় চাঁদপুর-১, চাঁদপুর-৩ ও চাঁদপুর-৫ এ তিনটি আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত তিনজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সকল নেতৃবৃন্দ, সকল উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র এবং যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলাসহ বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন। এঁদের মধ্য থেকে আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন।
    দীর্ঘ সময়ের এ বর্ধিত সভায় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ সকল বক্তার বক্তব্যের মূল বিষয় ছিলো একটাই-শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা। বক্তারা বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া। আর তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইলে চাঁদপুরের পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে হবে। চাঁদপুর জেলার বৃহত্তর আওয়ামী পরিবারের প্রতিটি নেতা-কর্মী ও সমর্থককে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে, যদি শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হয় তাহলে চাঁদপুরের পাঁচটি এমপি তাঁকে উপহার দিতে হবে। আর সে লক্ষ্যে সকল ভেদাভেদ ও দুঃখ-বেদনা ভুলে গিয়ে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী, নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ের লক্ষ্যে দৃঢ় প্রত্যয়ে কাজ করতে হবে। এ নির্বাচনের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে বক্তাগণ বলেন, যদি কোনো কারণে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে না পারে তাহলে আওয়ামী লীগের কী হবে সেটা বড় কথা নয়, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কোন্ পর্যায়ে যাবে সেটা বড় চিন্তার বিষয়, ভাবনার বিষয়। কারণ, বাংলাদেশ টিকে থাকলে আওয়ামী লীগ টিকে থাকবে। আর আওয়ামী লীগ টিকে থাকলে আমাদের সবার ঠিকানা থাকবে। বক্তাগণ বলেন, নতুন ভোটার ও নারী ভোটারসহ দেশবাসীর কাছে বর্তমান সরকারের দশ বছরের উন্নয়ন কর্মকা-ের পাশাপাশি এর আগে বিএনপি-জামাত জোটের দুঃশাসন, জ¦ালাও পোড়াও, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে গণহারে মানুষ হত্যা ও আগুন সন্ত্রাসসহ শত অপকর্মের চিত্র তুলে ধরতে হবে। আর যারা দিনে আওয়ামী লীগ, রাতে বিএনপি-জামাতের বন্ধু তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কোনোভাবেই এ অপশক্তি যেনো আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে না পারে।
    বর্ধিত সভায় চাঁদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি বলেন, ঘোষক আমাকে যে নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করেছেন, আমি আসলে তেমনটা নই। আমি একজন সাধারণ মানুষ। বিশেষ ক্ষমতাবান বা বিশেষ কোনো গুণী ব্যক্তি নই। আমি আপনাদেরই লোক, আপনাদের পাশে থেকে আজীবন কাজ করতে চাই। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে চলছে। বেগম খালেদা জিয়ার শাসন আমলে দরিদ্রসীমা ছিল ৪৪ ভাগ, বর্তমানে তা ২০ ভাগে নেমে এসেছে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, বৃদ্ধি পেয়েছে আর্থিক স্বচ্ছলতা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রবৃদ্ধিসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারবাহিকতা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীদের নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে হবে তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনো ব্যক্তির নির্বাচন নয়। এ নির্বাচন সুষম সমাজ উন্নয়নের নির্বাচন, তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। তিনি নৌকা প্রতীকে সকলকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
    চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেন, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। আর এ বিজয়ের মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে। ২০০৮ সালে এ বিজয়ের মাসেই আওয়ামী লীগ যেমনি একটি ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করেছিলো, এবারো তেমনি ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করবে বলে আমার বিশ^াস। তিনি বলেন, এ যাবৎকালে যত উন্নয়ন হয়েছে তা আওয়ামী লীগের আমলেই হয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। হয় বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে হয়ে, না হয় তাঁর সুযোগ্য কন্যা  জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে হয়েছে। তাই এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশের মানুষকে আবারো নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। তিনি তরুণ ভোটারদের প্রাধান্য দিয়ে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারের সংখ্যা অনেক। এ নির্বাচনে তাদের একটি বিশাল ভূমিকা থাকবে। তাই তাদেরকে জানাতে হবে বর্তমান সরকারের ১০ বছর পূর্বের ইতিহাস। ১০ বছর পূর্বে কেমন বাংলাদেশ ছিল তা তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, ভোটারদের মধ্যে নারী ভোটার প্রায় অর্ধেক। কোনো কোনো এলাকায় নারী-পুরুষ সমান আবার কোথাও পুরুষের চেয়েও বেশি। এই নারীরা সবাই যে ঘর থেকে বাহিরে এসে সকল বিষয়ে জানেন, সচেতন হন তেমনটা নয়। তাই ঘরে ঘরে গিয়ে নারীদের বুঝাতে হবে শেখ হাসিনা নারীদের মর্যাদা দিয়ে কোথায় নিয়ে এসেছেন এবং তাদেরকে কীভাবে ক্ষমতায়ন করেছেন। তিনি বলেন, শিক্ষা, খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্যে। তাই উন্নয়নের স্বার্থে, নিজেদের প্রয়োজনে নৌকায় ভোট দিতে হবে। নৌকার কোনো বিকল্প নেই। আগামীদিনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে পূর্বের দুঃশাসনে ফিরে যাবে দেশ। দীপু মনি বলেন, একটি কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে, আমরা যারা প্রার্থী আছি, তারা সকলেই শেখ হাসিনার প্রার্থী। তাই আমাদের বিজয় মানে শেখ হাসিনার বিজয়। তিনি বলেন, এমপির জায়গাটি খুব সুখকর নয়। আমরা চাইলেও সবসময় সকলকে সমানভাবে সন্তুষ্ট করতে পারি না। কিন্তু না পারার পেছনে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি ছিল কিনা তা আপনারা দেখবেন। আমরা সবসময়ই চেষ্টা করি সকলকে সন্তুষ্ট করতে, কিন্তু সম্পদের অপ্রতুলতার কারণে অনেক সময় তা সম্ভব হয়ে উঠে না, এজন্যে আপনারা আমাদেরকে ভুল বুঝবেন না। তিনি সকলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন,  আমাদের মাঝে  ঘাপটি মেরে থাকা তৃতীয় শক্তি সবসময় সক্রিয় থাকে। তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করে রাখতে সবসময় সচেষ্ট থাকে। এ তৃতীয় শক্তি সম্পর্কে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি। তিনি এ আসনে অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী সুজিত রায় নন্দীর সাথে এক ও অভিন্ন থেকে নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের সকল মান-অভিমান তুলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
    চাঁদপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বলেন, এবার নিয়ে ৫ বার বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্যে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি এজন্যে নেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিবাসীর নিকট। তারা এবারও নৌকার পক্ষে কাজ করবেন, শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন। তিনি আরো বলেন, যারা আওয়ামী লীগ করেন, বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন, তাদের সকলের দায়িত্ব নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করা। কারণ, নৌকার বিজয় হলেই দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় আমাদের মাঝে কোনো মান-অভিমান নেই। যদি কোনো সমস্যা থেকেও থাকে তা আমি দূর করেছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সকলকে নিয়ে নির্বাচন করব। বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।
    চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক চাঁদপুরের কৃতী সন্তান সুজিত রায় নন্দী তাঁর বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনা যাঁকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছেন তাঁর হয়েই আমাদের সকল নেতা-কর্মীকে কাজ করতে হবে। চাঁদপুর-৩ আসনে জননেত্রী শেখ হাসিনা ডাঃ দীপু মনিকে মনোনয়ন দিয়েছেন। সুতরাং তাঁর বিজয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। নৌকার বিজয়ই শেখ হাসিনার বিজয়, নৌকার বিজয়ই আমাদের বিজয়। তিনি বলেন, আমাদের মাঝে মান-অভিমান থাকতে পারে, পাওয়া না পাওয়ার বেদনা থাকতে পারে। সেই মান-অভিমান ভুলে গিয়েই আমাদের নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের এক ও অভিন্ন থেকে চাঁদপুরের ৫টি আসন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিশে^র সেরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আর এ উন্নয়নের বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার তাদেরকে প্রতিহত করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদেরকে এক ও অভিন্ন থাকতে হবে। কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা যাবে না। কর্মীর মূল্যায়ন করতে হবে। মনে রাখতে হবে টাকাওয়ালারও ১ ভোট, আর গরিব দিনমজুর রিক্সাওয়ালারও ১ ভোট। তিনি জাতীয় নির্বাচনে চাঁদপুরের ৫টি আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়ে চাঁদপুর জেলাকে মডেল জেলায় রূপান্তর করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
    বিশেষ এ বর্ধিত সভায় সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া ও শাহির হোসেন পাটওয়ারীর যৌথ পরিচালনায় নেতৃবৃন্দের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ ইউছুফ গাজী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ আখন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ফজলুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক আলী আরশাদ মিয়াজী, চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল খায়ের পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েদ সরকার, হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতালেব জমাদার, সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন পাটওয়ারী, হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মিয়াজী, সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ মাঈনুদ্দিন, হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র মাহবুব আলম লিপন, শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরিদ উল্লাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিন্টু, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডঃ রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস, মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএইচএম কবির, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আইউব আলী পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব  হোসেন চৌধুরী সোহাগ, জেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন প্রধান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক এসএম জয়নাল আবেদীন, জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুর রহমান, যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী ফরিদা ইলিয়াছ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতাউর রহমান পারভেজ প্রমুখ।
    জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এদেশে ভালো যা কিছু অর্জিত হয়েছে তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নৌকার বিকল্প নেই। তাই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে আপনারা কাজ করবেন, আমরা ব্যালটের মাধ্যমে জন রায় নিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবো এবং উন্নয়নের কা-ারি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবো।
    জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের সকল মান অভিমান ভুলে গিয়ে নৌকার জন্যে কাজ করতে হবে। নৌকার বিজয় মানে দেশের বিজয়, আমার বিজয়, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের বিজয়। আর আমাদের এমন কোনো কাজ করা যাবে না যাতে নৌকার ক্ষতি হয়।

সূত্র : চাঁদপুর কণ্ঠ

 

সর্বাধিক পঠিত