• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

‘এই সরকার নদী না বানলে আমাগো এতদিনে মৈশাদী ছাইরা যাওন লাগতো’

প্রকাশ:  ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

‘এনে এইবার নৌকাই পাস করবো। নৌকার প্রার্থী খুব শক্ত। আর দীপু মনি যে কাজ করছে, তারে তো এমনেই সবাই ভোট দেওন দরকার। নদীর ভাঙ্গন থেইকা আমাগো ঘর-দুয়ার রক্ষা হইছে। এই সরকার যদি নদী না বানতো (বাঁধতো), তাইলে আমগো এতোদিনে মৈশাদী ছাইরা যাওন লাগতো।’ (অর্থাৎ নদী ভাঙতে ভাঙতে মৈশাদী পার হয়ে যেতে হতো)। এভাবেই গ্রাম্য আঞ্চলিক ভাষায় ষাটোর্ধ্ব বয়সী একজন কৃষক আসছে নির্বাচনে চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসন নিয়ে মন্তব্য করলেন।
গত বুধবার চাঁদপুর শহরতলীর রঘুনাথপুর বেপারী বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করার সময়টুকুতে কথা হলো দু’জনের সাথে। প্রথম কথা হয় বয়স প্রায় চল্লিশ হবে এমন একজন যুবকের সাথে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় এখানে নৌকা-ধানের শীষের অবস্থা কী? এ যুবক বললেন, ‘এনে (এই কেন্দ্রে) সবসময় ধানের শীষ পাস করে, এবারো ধানের শীষ পাস করবো।’ পাশেই বসে থাকা ষাটের উপরে হবে বয়স এমন একজন বয়স্ক লোকের সাথে কথা হয়। তার কাছেও একই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বললেন নৌকা পাস করবে। এর কারণ হিসেবে তিনি যে বিষয়গুলো উল্লেখ করলেন, তা হচ্ছে-তারা দলমত বুঝেন না, তারা বুঝেন উন্নয়ন। বড় উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করলেন নদী ভাঙ্গনরোধের কথা। এই সরকার নদী ভাঙ্গন রোধ করায় মেঘনার তীরের মানুষগুলোর বাড়ি-ঘর রক্ষা পেয়েছে। গত প্রায় ৬/৭ বছর হয় তাদের আর ভাঙ্গন আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে না। আগে প্রতি বছরই বর্ষার সময় ভাঙ্গন আতঙ্কে তাদের থাকতো হতো এবং অনেক মানুষ ভিটেমাটি হারাতো। এছাড়া এলাকার এমপি ডাঃ দীপু মনির আরো বেশ কিছু উন্নয়ন এবং গরিব অসহায় মানুষগুলোর জন্যে বর্তমান সরকারের অনেক সুযোগ-সুবিধার কথা এই গ্রাম্য বয়স্ক লোকটি বললেন। তিনি এও জোর দিয়ে বললেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, ডাঃ দীপু মনির কোনো বদনাম নাই। তখন তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ‘ওই যুবক যে বললো ধানের শীষ পাস করবে?’ এরও জবাব তিনি দিলেন এভাবে, ‘হেগ্গায় তো বিএনপি করে, এল্লাই হেগ্গায় কইছে ধানের শীষ পাস করবো। আমরা আওয়ামী লীগও করি না, বিএনপিও করি না। আমরা সাধারণ মানুষ। যে আমগো লাইগা কাম (উন্নয়ন) করবো, তারেই আমরা ভোট দিমু, আমরা বুঝি এডা।’  
এভাবেই চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার রঘুনাথপুর ও জাফরাবাদ এলাকায় বেশ কিছু সাধারণ মানুষের সাথে কথা হয় নির্বাচনী ভাবনা নিয়ে। তাদের অধিকাংশই নৌকার পক্ষেই কথা বললেন। এর যৌক্তিক কারণ হিসেবে তারা সারাদেশে সরকারের সার্বিক উন্নয়ন এবং চাঁদপুর সদর ও হাইমচরের উন্নয়ন বিশেষ করে নদী ভাঙ্গন রোধ করাসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়নের কথা বললেন।

 

সর্বাধিক পঠিত