• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

খ্যাতির বিড়ম্বনা--- রতন কুমার মজুমদার।

প্রকাশ:  ২২ মে ২০২০, ১১:০৪ | আপডেট : ২২ মে ২০২০, ১১:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

খ্যাতির বিড়ম্বনা 
জনগনের জন্য কাজ করতে হলে স্বদিচ্ছাটাই প্রধান। কারো হাতে ত্রানের বস্তা তুলে দিয়ে সে ছবি ফেসবুকে দিয়ে প্রচার করা রাজনীতির দীনতাই প্রকাশ পায় এ করানাকালে। যারা এমনটি চায় তাদের দেউলিয়া সম্পর্কে আমরা জানি। চাঁদপুর হাইমচরের মানুষের জন্য নীরবে নিভৃতে কাজ করে যাওয়া একজন জনপ্রতিনিধি ডা Dipu Moni

ডা দীপু মনির সকাল শুরু হয় এলাকার মানুষের খোজ খবর নিয়ে।
প্রতিদিন কি পরিমান ত্রান দেয়া হচ্ছে ? বাড়ী বাড়ী গিয়ে দেয়া হচ্ছে কিনা ? ত্রান পাওয়ার যোগ্যদের তালিকা ঠিকমত করা হচ্ছে কিনা ? যাতে কেউ কষ্টে না থাকে সেসব নির্দেশনা দিয়ে। নিজের সাধ্যমত ত্রান সহযোগিতা প্রেরণ করছেন ঢাকা থেকে।

ডা. দীপু মনি আপার বাসায় ত্রান বিতরণের যে কর্মযজ্ঞ চলছে যারা দেখেছেন তারা বলতে পারবেন। ঢাকায় বসে সেটা সম্পর্কে মন্তব্য করাটা দেউলিয়াপনা। আপার যে বিশাল কর্মীবাহিনী আছে দিনরাত পরিশ্রম করে তারা মানুষের ঘরে ঘরে ত্রান পৌঁছে দিচ্ছেন। পৌঁছে দেয়ার কারণ হলো সামাজিক দুরত্বটা নিশ্চিত করা। আপা ঢাকা থেকেই প্রতিদিন ত্রান বিতরণ খোজ খবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন। ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ এতটা সুশৃংখলভাবে মানুষের ঘরে ত্রান পৌঁছে দেয়া বিরল ঘটনা। এখানে কোন রাজনৈতিক পরিচয় বড় কথা নয় সমভাবে যেন মানুষ ত্রান পায় সেই নির্দেশনাই তিনি দিচ্ছেন।

ধান কাটা মৌসুমে প্রধান মন্ত্রীর আহ্বানে এবং আপার নির্দেশে পরদিনই ছাত্রলীগ যুবলীগ কৃষকের পাশে দাড়িয়ে গেল। জমির ধান তুলে কৃষকের বাড়ী পৌঁছে দিল।

নিজ নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি চেয়ারম্যানের সাথে মেম্বারদের সাথে প্রতিদিন যোগাযোগ রাখছেন মানুষ যেন কষ্টে না থাকে। প্রতিদিন কয়েকশ ফোন রিসিভ করছেন এলাকার জনগনের। সাধ্যমত সহযোগীতা করছেন। কাউকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন না। কেউ হতাশ হয়েছে বলতে পারবে না। আপার নির্বাচনী এলাকার যে সকল ছাত্র ছাত্রীদের টিউশনি না থাকরনে এ সময়ে কষ্টে আছে তাদের বিকাশে আপার সহযোগিতা যাচ্ছে। এটাও এক বিরল দৃষ্টান্ত।

শুধু এলাকার মানুষ নয় নিজ দলের কর্মীদেরও ঈদের শুভেচ্ছা দিচ্ছেন। এটা দিয়েই প্রমাণিত হয় তিনি কতটা দলীয় কর্মী বান্ধব। অর্বাচীনদের বলতে শুনি তিনি এলাকায় আসেননি। সেই সব অর্বাচীনদের বলি আপা এমন এক রাজনৈতিক ব্যক্তি মানুষের পাশে দাড়াবার জন্য তাঁর পক্ষে হাজারো লোক রয়ে গেছে। আরেকটা বিষয় হলো তিনি শোয়িং এ পছন্দ করেন না। তিনি কারো হাতে ত্রান তুলে দেবেন সেই ছবি পত্রিকার পাতায় তিনি দেখতে চান না। তিনি যেটি চান সেটি হলো মানুষ যেন কষ্টে না থাকে। প্রতিটি ঘরে যেন ঠিকমত ত্রান পৌঁছে যায়। আর সেটাই করছেন তাঁর নিবেদিতপ্রান স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাঁরই পরিকল্পনায় এবং নির্দেশে।

ডা দীপু মনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের উপর পূর্ণ আস্থাশীল। নেতাকর্মীরাও আপা অন্তপ্রাণ । কাউকে বোনের স্নেহে কাউকে মাতৃস্নেহে আগলে রাখেন। নেতাকর্মীরাও আপার রাজনৈতিক প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করে আপার পক্ষে।

অবশ্য খ্যাতির একটা বিড়ম্বনাও আছে। এত খ্যাতি কি কারো সহ্য হয়? দীপু মনির ছবি কেন ফেসবুকে ভাইরাল হয় সেটাও একটা বিড়ম্বনা। তিন যে রাজনৈতি সংস্কৃতি ধারণ করেন তা বিরল। তিনি ভোট দিতে গেলে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দেন , এয়ার পোর্টে লাইনে দাড়িয়ে বোডিং পাস নেন,। এটি নতুন কিছু নয়। এত সংকটের মধ্যেও মন্ত্রনালয়ের সকল কাজ দ্রুততার সাথে সফলভাবে হচেছ সেটাও একটা বিড়ম্বনা। কারো কারো কাছে এতভালতো ভাল না। ২০১৮ সালের একটি ছবি দিয়ে হিংসুটেরা অবশ্য চেয়েছিল খ্যাতিতে লাইন টানতে কিন্তু সেটও বিফলে গেল সত্যের কাছে। তাই এসমস্ত অর্বাচীনদের বলি এগুরো করে আপার খ্যাতির এক বিন্দুও ছেদ ফেলতে পারবেন না। মনে রাখবেন
ডা দীপু মনি এখন রাজনৈতিক ব্র্যান্ড।

রতন কুমার মজুমদার এর ফেসবুক ওয়াল থেকে। 

সর্বাধিক পঠিত