সেভিয়াকে হারিয়ে তৃতীয় স্থানে রিয়াল
১৯৯৩ সালের পর মুখোমুখি দেখায় কেউই ড্র করেনি। যদিও শনিবার রাতের ম্যাচটি দেখে মনে হচ্ছিল ২৬ বছর আগের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার ১২ মিনিট আগেই চোখ ধাঁধানো গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে দিয়েছিলেন কাসেমিরো। আর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে সেভিয়ার বিপক্ষে ব্যবধান বাড়িয়ে দলকে বাড়তি সম্মান এনে জয় উপহার দেন লুকা মদ্রিচ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। এ জয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এলো রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই রিয়ালকে এগিয়ে দিতে পারতেন ভিনিসিউস জুনিয়র। ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। তবে তার কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান চেক রিপাবলিকের গোলরক্ষক তমাশ ভাতস্লিক। পাল্টাআক্রমণে ২২তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করেন সেভিয়ার স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সার্জিও এসকুদেরো।
বিরতির পর একের পর এক আক্রমণ করতে থাকা রিয়াল ৬৭তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোলবঞ্চিত হয়। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানি সেবাইয়োসের দূরপাল্লার শট লাগে ক্রসবারে। অবশেষে ৭৮তম মিনিটে অপেক্ষা শেষ হয় রিয়ালের। অনেক দূর থেকে উঁচু জোরালো শটে দলকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কাসেমিরো। ঝাঁপিয়ে বলে হাত লাগিয়েছিলেন গোলরক্ষক; কিন্তু রুখতে পারেননি। বল ক্রসবারের নিচের কানায় লেগে জালে জড়ায়।
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে জয় নিশ্চিত করেন মদ্রিচ। প্রতিপক্ষের ভুলে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শটে গোলটি করেন গত বছরের ফিফা বর্ষসেরা ও ব্যালন ডি’অর জয়ী ক্রোয়াট এ মিডফিল্ডার।
২০ ম্যাচে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে আসা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৩৬। ৪ নম্বরে নেমে যাওয়া সেভিয়ার পয়েন্ট ৩৩। শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ১৯ ম্যাচে ৪৩।