চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী নির্বাচন বানচাল ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে লেখকদের মানববন্ধন
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১৫:৩৪
স্টাফ রিপোর্টার


চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী নির্বাচনকে বানচাল, অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে জেলার সর্বস্তরে লেখক সমাজ। ১৫ মে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় শহরের জোড় পুকুর পাড়স্থ চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কবি ও প্রাবন্ধিক আবদুল্লাহিল কাফী, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির সাবেক নির্বাহী সদস্য প্রবীণ লেখক এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সাহিত্য একাডেমীর এডহক কমিটির সদস্য, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং কবি গল্পকার ও প্রাবন্ধিক কাদের পলাশ, চাঁদপুর সাহিত্য মঞ্চের সাবেক সভাপতি কবি ও অনুবাদক মাইনুল ইসলাম মানিক, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী সাধারণ সদস্য কবি ও গল্পকার নুরুন্নাহার মুন্নি, সাহিত্য একাডেমীর নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য কবি ও সম্পাদক ম. নূরের আলম পাটোয়ার, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সাধারণ সদস্য এবং জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কবি আশরাফুজ্জামান কাজী রাসেল, , চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সাবেক অডহক কমিটির সদস্য এবং চাঁদপুর সাহিত্য মঞ্চের সভাপতি কবি আশিক বিন রহিম, সাহিত্য একাডেমীর সাধারণ সদস্য কবি ও গীতিকার কবির হোসেন মিজি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সদস্য মুখলেসুর রহমান ভূঁইয়া, সুমন কুমার দত্ত, পলাশ দে, আতিকুর রহমান রুবেল, আরিফুল ইসলাম শান্ত, এএম সাদ্দাম হোসেন, লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী নূরে আলম, লেখক ও সাংবাদিক বিল্লাল ঢালী, এইচএম নিজাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন পর চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সাধারণ সভা হতে যাচ্ছে.। এই সভায় সাধারণ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সাহিত্য একাডেমীর নিয়মিত কমিটি গঠন করা হবে। সাহিত্য একাডেমি নির্বাচনকে ঘিরে চাঁদপুর লেখকদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। অথচ দুই একজন ব্যক্তি চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার করছে। তারা জেলা প্রশাসনের এই সুন্দর প্রয়াসকে বানচাল করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
বক্তারা আরো বলেন, মূলত তাদের ক্ষোভ হলো সাহিত্য একাডেমী সদস্য হতে না পারা। গত এক বছর পূর্বে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্থানীয় সকল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাহিত্য একাডেমীর সদস্য আহবান করা হয়। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে এক লেখক অপর লেখকের সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন সুদীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাথমিক সদস্য থেকে যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিক সদস্য পরে সাধারণ সদস্য করেন। পাশাপাশি যারা অলেখক তাদেরকে সদস্য থেকে বাতিল করেন।
পরবর্তীতে সাহিত্য একাডেমীর ইতিহাস এই প্রথমবারের মতো সাধারণ সভার আহবান করে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্মিত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন জেলা প্রশাসন। এখন যারা সাহিত্য একাডেমির নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা কেউ তখন সদস্য হওয়ার জন্য আগ্রহ দেখায়নি। এখন নির্বাচনের উৎসব দেখে গাত্রদাহ থেকে তারা মূলত এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মানববন্ধন থেকে লেখকরা দীর্ঘদিন পর সাহিত্য একাডেমী সাধারণ সভা এবং নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের আয়োজন করায় জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানান।