• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

নির্মম বিভীষিকার সেই বিকেল : জাফর ওয়াজেদ

প্রকাশ:  ২১ আগস্ট ২০২০, ১২:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

২০০৪ সালের একুশে আগস্ট বাঙালির ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক এবং মর্মান্তিক অধ্যায়ের আরেক নাম। বর্বর শাসক দল প্রশাসন এবং জঙ্গিদের সম্মিলনে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য যে পথ বেছে নিয়েছিল, তা মানবসভ্যতাকে বিদ্রূপ করারই নামান্তর। সভ্যতা মূলত মানবজীবনের আধার। মানবতা বলতে যা বোঝায়, তারও আধার। মানুষ জানে, সভ্যতার অগ্রগতির সামগ্রিক অর্থ মানুষেরই অগ্রগতি। সভ্যতার অগ্রগতির অর্থ দাঁড়ায় পারিপাশর্ি্বকতার অগ্রগতি বা নিরন্তর বদল। যদিও তাতে মানবসমাজের অগ্রগতি হয় না। কোনো ক্ষেত্রে অগ্রগতি কিছু মানুষের হয়, কোনো ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শ্রেণির। মানবতা জান্তা শাসক ও তার উত্তরসূরির হাতে বারবার লাঞ্ছিত হয়েছে।

সেই দৃশ্যপটের দিকে এখনো চোখ মেলে তাকাতে পারি না। কী বীভৎস! কী নির্মম বিভীষিকাময় সেইসব চিত্রাবলি। রক্ত আর মানবদেহের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খ- খ- টুকরো পুরো রাস্তাজুড়ে, আর্তনাদের দৃশ্যাবলির পাশাপাশি পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ, আহতদের হাসপাতালে নিতে বাধা প্রদান, সরকারি হাসপাতালের গেট বন্ধ কিংবা চিকিৎসা প্রদানে অপারগ চিকিৎসক, সেবা প্রদানে অনাগ্রহী সেবকরা এমন অমানবিকতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল ১৬ বছর আগে রাজধানী ঢাকায় রাজনৈতিক নেতাকর্মী আর জনসভায় আগত শ্রোতাদের। ববর্রতার নিকৃষ্ট উদাহরণ সেদিন হয়েছিল তৈরি। প্রাণহরণের খেলায় মেতেছিল সরকার তথা রাষ্ট্র। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চালানো হয়েছিল গণহত্যা। খুবই সুপরিকল্পিতভাবে এক সংগঠিত শক্তি সংঘটন করেছে এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ। সভ্যতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে বর্বরতার আশ্রয় নেওয়া শক্তি ক্ষমতার দ-মু- সেজে যে ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি করেছিল, তাতে লক্ষ্যবস্তু নিশ্চিহ্ন করা না গেলেও গণহত্যার শিকার হয়েছে আরও অনেক মানব। এই পাশবিকতা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অমানবিক আচরণের উল্লম্ফন সেদিন দেখেছে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী। সভ্যতাকে ছিন্নভিন্ন করে অসভ্যতার বিস্তার ঘটানো হয়েছিল সরকারি উদ্যোগেই। অগণতান্ত্রিকতার উজ্জ্বল উদাহরণ বুঝি এই গণহত্যা, যা ১৯৮৮ সালের চবি্বশে জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে সংঘটিত গণহত্যাকেও হার মানিয়েছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হলেও প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছিল ২৪ জন সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক কর্মীকে। সামরিক জান্তা শাসক সরকারি বাহিনীকে ব্যবহার করেছিল। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ট্রাকযোগে লালদিঘি ময়দানে যাচ্ছিলেন শেখ হাসিনা। সেখানে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল দলীয় উদ্যোগে। তাঁর গাড়িবহরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল। সেদিন আইনজীবীরা আদালত থেকে বেরিয়ে এসে শেখ হাসিনাকে 'কর্ডন' করে রেখেছিলেন। এরপর শেখ হাসিনা আদালত ভবনে আইনজীবীদের উদ্দেশে ভাষণও দেন। এরশাদ সেদিন ব্যর্থ হয়েছিলেন। তার পোষ্য বাহিনী পাকিস্তানফেরত সেনা কর্মকর্তা, যিনি জান্তা শাসনকালে পুলিশে যোগ দিয়ে পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার হয়েছিলেন। তারই নির্দেশে সংঘটিত হয়েছিল গণহত্যা, যার বিচার এখনো ঝুলন্ত। সভ্যতা সেদিনও ধুলায় লুণ্ঠিত হয়েছিল।

আইভী রহমানের পাবিহীন রক্তাক্ত সেই ছবিটির দিকে আজও তাকাতে পারি না। মাতৃসম মহীয়সী নারী ছিলেন তিনি। পুত্রবৎ স্নেহ করতেন। ১৯৮০ সালে ডাকসু নির্বাচনে সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে ছাত্রলীগের কাদের-চুন্নু পরিষদ থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বাসায় ডেকে নিয়ে নিজ হাতে রান্না করা খাবার খাইয়েছিলেন। স্বামী জিল্লুর রহমানের স্নেহের ও আশীর্বাদের হাত বিগলিত করেছিল বৈকি। ১৯৮৪ সালে আওয়ামী লীগের ১৫ আগস্টের সংকলন সম্পাদনা পরিষদের সদস্য হিসেবে জিল্লুর রহমান ও আইভী রহমানের সঙ্গে কাজ করার সুবাদে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। তাঁরা তখন থাকতেন মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে আর আমি পৈতৃক নিবাস বাবর রোডে। তাঁদের বাসার সামনে দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হতো। কত কাছের মানুষ ছিলেন দুজনে। পঁচাত্তর-পরবর্তী ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে 'সংস্কৃতিসভা' নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছিলাম আইভী রহমানের পরামর্শে। এই সংগঠনে তাঁর কন্যারাও ছিলেন। আয়োজিত অনুষ্ঠানে ও রিহার্সেলে তানিয়া ও তনিমারা গাইতেন। নেত্রী সাজেদা চৌধুরী, নেতা মালেক উকিলের কন্যারাও এই সংগঠনে সক্রিয় ছিলেন। টিএসসিতে রিহার্সেল হতো। মাঝেমধ্যে জিল্লুর রহমান ও আইভী রহমান একসঙ্গে কিংবা পৃথকভাবে রিহার্সেল দেখতে আসতেন। নানা পরামর্শ দিতেন। সুন্দরের পূজারি এই নেতা-নেত্রীরা কর্মীদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত মানবিক ও উদার। তাদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াতেন। সংসার, রাজনীতি ও সমাজকর্ম_ সবকিছুই সুচারুভাবে পালন করতেন বেগম আইভী রহমান। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দানবিক, পাশবিক, অমানবিক আক্রমণের শিকার হলেন মহীয়সী নারী আইভী রহমান। হাসপাতালে তিনদিন কষ্টকঠিন অবস্থায় কাটিয়ে তিনি চলে গেলেন অনন্তলোকে। কী অদ্ভুত, হামলাকারীদের নেত্রী খালেদা জিয়া ২৩ আগস্ট বিকালে সিএমএইচে দেখতে গিয়েছিলেন আইভী রহমানকেই। তিনি বোধহয় দেখতে এসেছিলেন, বীভৎসতার স্বরূপ। সর্প হয়ে দংশন করলেও ওঝা হয়ে ঝাড়তে আসেননি। নিজের কৃতকর্মের ফলাফল তিনি দেখেছিলেন সানগ্লাসের আড়াল থেকে। এই বেগম জিয়াই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, গ্রেনেড হামলা আওয়ামী লীগ নিজেরাই ঘটিয়েছে। শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে গ্রেনেড নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। কী নির্মম ভাষ্য তার। মিথ্যাচারে পূর্ণ এসব ঘৃণ্য ভাষ্য মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছিল। শেখ হাসিনা গ্রেনেড মারার প্রশিক্ষণ কবে নিয়েছিলেন, দেশবাসীর তা জানা নেই। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় যে গ্রেনেড এবং সেনাবাহিনী যা ব্যবহার করে, সেই গ্রেনেড ব্যবহৃত হয়েছিল আওয়ামী লীগের জনসভায়। বিস্ফোরণের পর সভাস্থলে উপস্থিত পুলিশ আহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। বরং লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় উদ্ধারে আসা মানুষজনকে। জনসভা চলাকালে মঞ্চের পেছনে থাকা সাংবাদিকদের মধ্যে আমিও ছিলাম। 'পূর্ণিমা' নামক খাবার দোকানে জিলাপি খাওয়ার জন্য শ্রমিকনেতা হাবিবুর রহমান আকন্দ আমন্ত্রণ জানালে তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলাম বলে হামলার শিকার হইনি। আহতদের উদ্ধারে যখন দুজন এগিয়ে যাই, পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হই পিঠে। এরপরই টিয়ার গ্যাসের ধোঁয়ায় চোখ জ্বলতে থাকে। রুমাল ভিজিয়ে চোখ রক্ষার চেষ্টাও একসময় ব্যর্থ হয়। আহতদের আর্তনাদে এবং পুলিশি হামলার শিকারদের চিৎকারে রমনা এভিনিউয়ের আকাশ-বাতাস তখন ভারী। তারই আগে শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি হতচকিত করেছিল আমাদেরও। সেসব ঘটনা ভাবতে গেলে মানসিক চাপের মুখোমুখি হতে হয় আজও।

কেন সেদিন গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল সরকারের মন্ত্রী, প্রশাসনের উদ্যোগে? খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারেই যে সব ঘটেছিল, তা স্পষ্ট হয় এই ঘটনার কয়েকদিন আগে প্রকাশ্য এক জনসভায় প্রদত্ত তার ভাষণে। বলেছিলেন বেগম জিয়া যে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, কোনো দিন বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারবে না। এই বক্তব্যের বহিঃপ্রকাশই দেখা গেল ২১ আগস্টে। অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে পারলেই আর কোনো দিন বিরোধীদলীয় নেত্রী হতে পারবে না। আর তার হাওয়া ভবনস্রষ্টা পুত্র ধানমন্ডিতে শ্বশুরবাড়িতে টানা ১০ মাস থাকার পর পহেলা আগস্ট সেনানিবাসের বাসায় মায়ের কাছে ফিরে যায়। এই হামলার মূল পরিকল্পক এই তারেক। জাতির পিতা শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করা হলেও তাঁর দুই কন্যা প্রবাসে থাকায় বেঁচে যান। ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তা শাসক জিয়া তাদের দেশে ফিরতে দেননি। দেশি-বিদেশি চাপে ১৫ আগস্টের পাঁচ বছর পর শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসতে দিতে বাধ্য হয় জিয়া। শেখ হাসিনা তত দিনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হয়েছেন। দেশে ফেরার পরও তাঁকে পৈত্রিক বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। পিতার কবরেও যেতে দেওয়া হয়নি। শেখ হাসিনার এই বেঁচে থাকা জিয়ার কাছে ছিল সহ্যাতীত। জিয়ার হাত ছিল সর্বার্থে রক্তমাখা। কত প্রাণ যে হরণ করেছে ক্ষমতা দখলে রাখা অবস্থায়, তার হিসাব করা হয়নি আজও। দেশে ফেরার পর তাঁকে আরও ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার বেঁচে থাকাটাও খালেদা-তারেকের কাছে সহ্যাতীত আজও। তাই লন্ডনে যাওয়ার আগে বেগম জিয়া ইফতার পার্টিতে বলেছেন, শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হবে। এমনকি আওয়ামী লীগের পদও ছাড়তে হবে। আর ২০০৬ সালে তারেক বগুড়ার জনসভায় হাত নাড়িয়ে বলেছিলেন, তাদের কচুকাটা করতে হবে ধান কাটার কাস্তে দিয়ে। ইউটিউবে এই ভাষণ এখনো দেখা যায়। একুশে আগস্টের নৃশংস ঘটনার সঙ্গে তারেক ছাড়াও বিএনপি-জামায়াত জোটের মন্ত্রী, এমপি, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও জড়িত ছিল বলে শুনানিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রীর বাড়িতে বসে পরিকল্পনা হয়েছিল হামলার। সেনা ব্যবহৃত গ্রেনেডও তারাই জোগাড় করেছিল। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ এখনো শেষ হয়নি। দেশবাসী অপেক্ষায় সেই রায়ের। আইভী রহমানসহ নিহত ২৪ জনের আত্মা আজও কেঁদে বেড়ায়। আর ক্ষোভে ফেটে পড়ে খালেদা গং-কেন হাসিনা বেঁচে আছে। এই হত্যাকা-ের দায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ওপরও বর্তায়। ঘটনার পূর্বাপর তার বক্তব্য ও আচরণ প্রমাণ করে_ এই হত্যা ছিল তার কাঙ্ক্ষিত। শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে সেদিন বেঁচে গিয়েছিলেন। কিন্তু খালেদাকে কেন এই মামলার আসামি করা হলো না, জানেন তদন্ত কর্মকর্তারা ও আদালত। পাকিস্তানে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকে হত্যার নির্দেশের অভিযোগে কুখ্যাত ভুট্টোর ফাঁসি হয়েছিল। অথচ দুর্বল তদন্তের কারণে খালেদা জিয়া পার পেয়ে যাবেন, ভাবা যায় না। ফিলিপিন্সের স্বৈরাচারী শাসক মার্কোস বিরোধী দলের নেতা আকিনোকে দেশে প্রত্যাবর্তনের সময় বিমানবন্দরের সিঁড়িতেই ঘাতক দিয়ে হত্যা করিয়েছিলেন, সারা দেশের মানুষ গর্জে উঠেছিল, নির্বাচনে আকিনোর বিধবা স্ত্রীর কাছে হেরে গিয়ে তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল।

খালেদা জিয়া দেশবাসীকে বোকা ভাবেন বলেই আসল ঘটনা আড়াল করে জনগণকে বোঝাতে চেয়েছেন, আওয়ামী লীগাররাই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল। শেখ হাসিনা নিজেই এই হামলার ব্যবস্থা করেছিলেন; কিন্তু ম্যাডাম উপলব্ধি করতে পারছেন না, ছাইচাপা থাকে না। তার পুত্র ও দলীয় নেতাকর্মীরা যে এতে জড়িত এবং তারা যে বেগম জিয়ার নির্দেশে কাজ করেছেন, ঘটনার ১৩ বছর পরও জনগণ তা-ই জানেন। সেদিনের হামলায় সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন অনেকে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজও স্পিস্নন্টার বহন করে চলেছেন। এই খালেদা কবি শামসুর রাহমানকে জামায়াতি ক্যাডার দিয়ে হত্যা করাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে সফল হয়েছে কবি-শিক্ষক হুমায়ুন আজাদকে পৃথিবী থেকে সরাতে। শেখ মুজিবকে হত্যায় জড়িত জিয়া তার স্ত্রী ও পুত্র শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে এখনো সফল হননি। হত্যার পর হামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জজ মিয়া নাটকও সাজানো হয়েছিল। পলাতক মন্ত্রী ভ্রাতা তাইজউদ্দিনকে দক্ষিণ আফ্রিকা হতে আনার জন্য তোড়জোড় চলছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের লালনকারী বেগম জিয়া একুশে আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ ভ-ুল করতে পালটা সন্ত্রাস চালিয়েছিলেন সেদিন। শেখ হাসিনা এখন 'এঙ্টেনশন' জীবন কাটাচ্ছেন। মৃত্যুভয় তাঁকে ভীত করে না। বেগম জিয়া ও তার দলের মধ্যে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে বলেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ঝুকে পড়ে যেসব ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাতে সাফল্য তেমনভাবে ধরা দেয়নি। আদিম হিংস্র মানবতার ধারক হয়ে খালেদা জিয়া যা করেছেন, দেশবাসী আগামী নির্বাচনে তার উপযুক্ত জবাব দেবেই।

লেখক : মহাপরিচালক, প্রেস ইসস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক।

সর্বাধিক পঠিত