• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

চাকরিতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বা বস 'ভয়াবহ' হলে কী করবেন?

প্রকাশ:  ০৮ আগস্ট ২০১৮, ১০:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কর্মক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বা 'বস' সহানশীল না হলে নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। চাকরির ক্ষেত্রে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আপনার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বা 'বস' এর সাথে আপনার সম্পর্ক।

একটি প্রতিষ্ঠানে যার সরাসরি তত্বাবধানে আপনি কাজ করেন ঐ ব্যক্তির মানসিকতা না বুঝতে পারলে নিশ্চিতভাবে নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হবেন আপনি।

কাজেই নিজের পেশাগত উন্নয়নের স্বার্থেই আপনার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার মানসিকতা বোঝার চেষ্টা করা আপনার জন্য জরুরি।

পেশাগত জীবনে যে কোনো ধরণের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার মন জুগিয়ে ও তাঁর সাথে সমঝোতা করে কীভাবে এগিয়ে চলতে হয় সেবিষয়ে একটি বই লিখেছেন ম্যারি অ্যাবাজে, যেখানে 'বস'দের সাথে সুষ্ঠ ও কৌশলগত যোগাযোগকেই তাঁদের সাথে সুম্পর্কের প্রধান উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি।

মিজ. অ্য্বাাজে বলেন, "আপনার বসের ব্যবহার আপনার পছন্দ না হলেও কিছু করার নেই, কারণ তিনি তাঁর এই ব্যবহার ও কাজ দিয়েই প্রতিষ্ঠানে আজ আপনার বস হয়েছেন।"

উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিজের কর্মপদ্ধতি, মানসিকতা ও ব্যবহার পরিবর্তন করা জরুরি বলে মনে করেন মিজ. অ্যাবাজে।

"অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাকেই কর্মক্ষেত্রে তাঁর অবদান এবং সাফল্যের ভিত্তিতে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়ে থাকে। তাঁরা কতটা সুদক্ষভাবে কর্মীদের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করে থাকেন, সাধারণত সেবিষয়টিকে ততটা গুরুত্ব দেয়া হয় না।"

"কাজেই আপনার 'বস' কি ধরণের ব্যক্তি, আপনার কাছ থেকে তিনি কি আশা করেন এবং তাঁর সাথে কার্যকর যোগাযোগের জন্য আপনি কি করতে পারেন এই বিষয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন। তাহলে আপনি এবং আপনার 'বস' দু'জনই প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে সক্ষম হবেন", বলেন মিজ. অ্যাবাজে।

কর্মচারীর যুক্তিতে 'সঠিক', কিন্তু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মতে 'বেঠিক' - অধিকাংশ সময় এরকম দোটানায় জড়িয়েই 'বস'এর সাথে কর্মচারীর দ্বন্দ্ব তৈরী হয়ে থাকে বলে মনে করেন মিজ. অ্যাবাজে।

এসব ক্ষেত্রে আত্মাভিমান কর্মচারীর পেশাগত উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে মন্তব্য করেন মিজ. অ্যাবাজে। এরকম সময়ে আবেগের বশবর্তী হয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে দ্বন্দ্বে না জড়িয়ে ঐ সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে কারণ বোঝার চেষ্টা করা উচিত।

তবে অনেকক্ষেত্রে এসব কৌশলের কোনোটাই কাজ করে না।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি জরিপ সংস্থা গ্যালপ'এর গবেষণা অনুযায়ী সেদেশে কাজ করা জনসংখ্যার অর্ধেকই জীবনের কোনো না কোনো সময় চাকরি ছেড়েছেন তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে দ্বন্দ্বে।

"কয়েক ধরণের 'বস'এর সাথে আপনি কখনোই পেরে উঠবেন না", বলেন মিজ. অ্যাবাজে।

"একধরণের বস হলো যারা নিজেদের সিদ্ধান্তকেই সঠিক মনে করেন, যাদের আত্ম অহঙ্কার প্রবল।"

"আর আরেক ধরণের হলো যারা আপনাকে সবসময় দমিয়ে রাখার চেষ্টা করবে। আপনি যাই করেন না কেন তাঁরা আপনার সমালোচনা করবে। এধরণের 'বস' আপনার নিজস্ব উন্নয়নের জন্য খুব বিপজ্জনক।" মিজ অ্যাবাজে'র মতে এ ধরণের কর্মকর্তার অধীনে কাজ না করাই শ্রেয়। সূত্র: বিবিসি।