যেসব উপায় মানলেই ঘুম হতে পারে গভীর


রাতে গরমের কারণে অনেকেরই ঘুম হয় না। ঘুমানোর ঘর বা কক্ষ গরম, ঘামে বালিশ ভিজে যায় ও অস্থিরতা―অনেকেরই এসব সমস্যায় ঘুম হয় না রাতে। ফলে নির্ঘুম কেটে যায় রাত। এ কারণে রাতে এপাশ-ওপাশ করতে হয়। ঘুম না হওয়ায় বিরক্ত লাগে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে দিনে কিছুক্ষণ পরপরই ঘুমের ঝিমুনি আসে। ফলে দিনও অকারণে নষ্ট হয়।
রাতে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ও প্রয়োজনীয়। তা না হলে শরীরের নানা সমস্যা দেখা দেয়। রাতে ঘুমানোর জন্য কার্যকরী পাঁচটি উপায় জানিয়েছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম। তাতে বলা হয়েছে, উপায়গুলো অনুসরণ করলে রাতে ঘুম আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে সেসব উপায় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
ঠান্ডা চাদর ও বালিশ ব্যবহার :
ঘুমের আগে কিছুটা ঠান্ডা পানি বিছানার চাদর ও বালিশে ছিটিয়ে দিতে পারেন। এতে অল্পতেই শরীরের অতিরিক্ত ঘাম কমবে এবং বিছানায় ঠান্ডা অনুভব হবে। ফলে সহজেই ঘুম আসবে।
তুলসী ও মৌরি পানি পান :
একগ্লাস গরম পানিতে ৪-৫টি তুলসী পাতা ও আধা চামচ মৌরি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। ফুটানো শেষ হলে তা কিছুটা ঠান্ডা করে নিয়ে পান করুন। এই পানীয় প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম আনার আয়ুর্বেদিক উপায়।
ঘরের বাতাস চলাচল ঠিক রাখা :
ঘরের দরজা-জানালা খুলে রাখুন, যাতে সরাসরি বাতাস চলাচল করতে পারে। ফ্যান চালু রাখার সময় রুমের এক কোণে একটি বরফভর্তি বাটি রেখে দিন। এতে বাতাসের সঙ্গে রুমে বরফের শীতলতা ছড়িয়ে পড়বে। এ অবস্থায় বিছানায় শুয়ে পড়লেই শীতল বাতাসে ঘুম আসবে।
হালকা স্ট্রেচিং বা ব্রিদিং এক্সারসাইজ :
ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত ৫-১০ মিনিট হালকা স্ট্রেচিং বা ডিপ ব্রিদিং করলে শরীর ও মন উভয়ই শান্ত ও স্নায়ু শিথিল হয়। ফলে ঘুমও চলে আসে সহজেই।
অন্তত ৩০ মিনিট আগে মোবাইল ফোন বন্ধ করা :
ডিজিটাল ডিভাইসের নীল আলো ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনকে বাধাপ্রাপ্ত করে। এ জন্য ঘুমানোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, ট্যাব, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন। সহজেই ঘুম চলে আসবে চোখে।