• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

ওজন নিয়ন্ত্রণে ওটস কতটা কার্যকর?

প্রকাশ:  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ওটস এখন শুধু সকালের নাশতার খাবার নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওটস ফাইবার ও প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায়। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকেই ওটস খান। আসলেই এই খাবারটি ওজন নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখে কিনা আর কীভাবে খেতে হয় এ বিষয়ে হেলথলাইনের প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদরা কথা বলেছেন।
পুষ্টিবিদরা জানান, ওটসে রয়েছে জটিল কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ভিটামিন, প্রোটিন এবং বিশেষ উপাদান অ্যাভিন্যানথ্রামাইড, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ভাতের বিকল্প হিসেবে সকাল, দুপুর কিংবা রাতের প্রধান খাবার হিসেবেও ওটস খাওয়া যেতে পারে। ওটস কেবল ওজন নিয়ন্ত্রণ নয় বরং ন ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এক নজরে ওটসের উপকারিত
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: ওটসের উচ্চমাত্রার ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে ক্ষুধা কম লাগে। এছাড়া এতে থাকা বিটা-গ্লুকান শরীরে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন নিঃসরণ বাড়ায়, যা অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের প্রবণতা কমিয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর: ধীরে হজমযোগ্য জটিল কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় ওটস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং ঘন ঘন ক্ষুধা লাগার প্রবণতাও কমায়।
হৃদপিণ্ডের সুরক্ষা: ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান 'খারাপ কোলেস্টেরল' বা এলডিএল কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে হৃদরোগ ও ধমনিতে চর্বি জমার ঝুঁকি হ্রাস পায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ওটস শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এ কারণেই ওটসকে প্রিবায়োটিক খাবার বলা হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: ফাইবারে ভরপুর ওটস নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে। কলা, আপেল, খেজুর, বাদাম কিংবা বেরিজাতীয় ফলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এ উপকারিতা আরও বাড়ে।