• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

গণটিকার ১ম ডোজ আরো দু'দিন চলবে

কেন্দ্রে কেন্দ্রে মানুষের ঢল, লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে হুড়োহুড়ি

প্রকাশ:  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

করোনা প্রতিরোধে টিকার প্রথম ডোজ বন্ধের আশঙ্কায় চাঁদপুরের টিকা কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। ঠেলাঠেলি আর হুড়োহুড়িতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। টিকা প্রত্যাশীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা স্বাস্থ্যকর্মী ও ভলেন্টিয়ার দায়িত্বে থাকা যুব রেডক্রিসেন্ট সদস্যদের।
শনিবার সকাল থেকেই করোনার গণটিকা কর্মসূচিতে চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের টিকা ভবনে এবং ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রে মানুষের ঢল নেমেছে। শহরের এ দুটি কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের মধ্যে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে হুড়োহুড়ি ও মারামারির ঘটনাও হচ্ছে।
মানুষের ঢল নামায় প্রচ- রোদ ও গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
চাঁদপুর জেলায় ৯১ হাজার ৮শ’ জন মানুষকে করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে ২৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। টিকা পেতে আগে থেকে কোনো ধরনের নিবন্ধন বা কাগজপত্র লাগছে না। জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, এমন ব্যক্তিরাও এদিন টিকা কেন্দ্রে এসে টিকা নিতে পারছেন। এ সময় তাদেরকে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে টিকা কার্ড দেয়া হচ্ছে।
এদিকে সন্ধ্যার পর হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকা দেয়া বন্ধ রাখায় অতিরিক্ত চাপ পড়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় টিকা ভবনের সামনে। এ সময় অতিরিক্ত মানুষের চাপ সামাল দিতে সিভিল সার্জন পুলিশ সুপারকে বলে ফোর্স মোতায়েন করেন। এ সময় মানুষের ভিড় সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইছা রুহুল্লাহ জানান, সরকার গণটিকা কর্মসূচির প্রথম ডোজের সময় আরো দু’দিন বাড়িয়েছে। আজ ২৭ ও আগামীকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি এই দু’দিন প্রথম ডোজও দেয়া হবে। পাশাপাশি দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ টিকাও চলমান থাকবে।
মেডিকেল অফিসার আরো জানান, গণটিকা কর্মসূচির আওতায় এদিনে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৯১ হাজার ৮শ’ জন। আশা করছি আরও বেশি দিতে পারবো।
এদিন চাঁদপুর জেলার ৯২টি ইউনিয়নের প্রত্যেক ইউনিয়নে ৩টি করে কেন্দ্রে টিকা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি স্থায়ী কেন্দ্রে এবং সিভিল সার্জন অফিস ও হাসপাতাল এ দুটি কেন্দ্রের ৮টি বুথে এবং পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি বুথে দেয়া হচ্ছে করোনার টিকা।
হরিণাঘাটে ফেরি থেকে ট্রাক নদীতে
মিজানুর রহমান ॥ চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌরুটে হরিণার ১নং ঘাটে ফেরি থেকে পণ্যবোঝাই একটি ট্রাক নদীতে পড়ে গেছে। ঘাট পন্টুনের সাথে ফেরি কামিনীর র‌্যাম উঠানোর সময় ফাঁক হয়ে লোহার পাইপ বোঝাই খুলনাগামী ট্রাকটি সরাসরি নদীতে পড়ে নিমজ্জিত হয়। গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত সাড়ে নয়টার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে লোহার পাইপ নিয়ে এদিন ফেরি পার হওয়ার জন্য ট্রাকটি হরিণা ফেরি ঘাটে আসে। পরে সিরিয়াল পেয়ে রাত সোয়া ৯টার সময় অন্যান্য গাড়ির সাথে এই গাড়িটিও ফেরি কামিনীতে উঠানো হয়। র‌্যাম উঠানোর সময় হঠাৎ র‌্যাম ছুটে ট্রাকটি সরাসরি নদীতে পড়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিসি হরিণাঘাট ব্যবস্থাপক আব্দুন নূর তুষার দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে ঘাট সূত্রে জানা যায়, কামিনী ফেরিটি অধিক পুরানো হওয়াতে এর র‌্যামটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। ওই ট্রাকটি ফেরিতে লোড হওয়ার সময় রশির বাঁধন খুলে র‌্যাম ফাঁক হয়ে যায়। এতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ফেরিটি অন্যান্য গাড়ি নিয়ে শরীয়তপুরের দিকে রওনা হয়।
দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকে নদীতে পড়ে যাওয়া ট্রাকটি উদ্ধারে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
 

সর্বাধিক পঠিত