• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
  • ||
  • আর্কাইভ

বঙ্গবাজারে আগুন : পুড়ছে ঈদের স্বপ্ন

প্রকাশ:  ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

করোনার কারণে গত কয়েক বছর ঈদে ভালো ব্যবসা করতে পারেননি রাজধানীর বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা। আশা ছিল গত কয়েক বছরের লোকসান এবার পুষিয়ে নেওয়ার। কিন্তু বিধি বাম! মঙ্গলবার ভোরে মার্কেটে লাগা আগুন তাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছে। দাউ দাউ আগুনে পুড়ছে ব্যবসায়ীদের ঈদের স্বপ্ন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বঙ্গবাজারই দেশের সব থেকে বড় পাইকারি কাপড়ের মার্কেট। ঈদকে কেন্দ্র করে রোজা শুরুর পর থেকেই ধীরে ধীরে জমে ওঠে এ মার্কেটের ব্যবসা। এ বছরও জমতে শুরু করেছিল বঙ্গবাজারের কেনাবেচা। কিন্তু হঠাৎ লাগা আগুন সব কেড়ে নিয়েছে ব্যবসায়ীদের। ইমরান নামে এক ব্যবসায়ী জানান, শুধু তিনি নন তাদের পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনদের এখানে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। ঈদ উপলক্ষ্যে তারা দোকানে নতুন মালামাল তুলেছেন। এজন্য কেউ-কেউ ধার-দেনাও করেছেন। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ছে ঈদ কেন্দ্রিক তাদের এ স্বপ্ন। ব্যবসায়ী ইমরান জানান, তার শ্বশুর আগুন লাগার খবর পেয়ে স্ট্রোক করেছেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধু ইমরান নন, তার মতো শত-শত ব্যবসায়ী শেষ সম্বল হারিয়ে কাঁদছেন।

ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৪

স্মরণকালের ভয়াবহ আগুনে ধ্বংসস্তুূপে পরিণত হয়েছে বঙ্গবাজার। পাশের এনক্সকো ভবনেও আগুন জ্বলছে। এরইমধ্যে ৫০ ইউনিট কাজ করছে আগুন নিয়ন্ত্রণে। এদিকে উত্তেজিত জনতা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বঙ্গবাজারের উল্টোপাশে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে ইটপাটকেল ছুঁড়ে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। উৎসুক জনতার হামলায় ফায়ার (মিডিয়া) রবিউল ইসলাম অন্তর (২৩) ও ফায়ার ফাইটার আতিকুর রহমান (২৪) ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। এছাড়া বঙ্গবাজারের দোকান মালিক শাহিন ও নিলয় নামে দুজন আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রহিমা খানম বলেন, আমাদের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আহত হচ্ছেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য। কিন্তু কিছু উশৃঙ্খল মানুষ আমাদের সদর দপ্তরে এসে অফিসে হামলা করেছে এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উত্তেজিত জনতা প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে গেছে।

এদিকে বেশ কয়েক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বঙ্গবাজারের উল্টোপাশে হাঁটা দূরত্বে ফায়ার সার্ভিসের অফিস হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে শুরুতে গড়িমসি করেছে তারা। সঠিকভাবে কাজ শুরু করলে এতো ভয়াবহ অবস্থা হতো না বলে দাবি তাদের। দীর্ঘ চার ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বঙ্গবাজরের ভয়াবহ আগুন। বঙ্গবাজারের টিনশেড দোতলা মার্কেট পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনো দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। নিঃস্ব হয়ে গেছেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী।

এদিকে বঙ্গবাজারের চারপাশে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে সেনা, নৌ, বিমান ও বিজিবির ফায়ার ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সকাল ১০টায় সব শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বঙ্গবাজার লাগোয়া এনক্সকো ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পাঁচতলা ওই ভবনে কয়েকটি তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা মালামাল সরানো জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেষ সম্বলটুকু রক্ষা করার চেষ্টা করছেন তারা।

৪ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন

স্মরণকালের ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে রাজধানীর বঙ্গবাজার। ঈদকেন্দ্রিক কেনাবেচনায় মুখর হয়ে ওঠার আগে ভয়াবহ এ আগুনে পুড়েছে ব্যবসায়ীদের সহায়-সম্বল। আগুনে সব হারিয়ে বহু ব্যবসায়ী এখন শুধু আহাজারি করছেন। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট। আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে একে একে যোগ দেয় মোট ৫০টি ইউনিট। একপর্যায়ে ফায়ারের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও তাদের হেলিকপ্টার। তবে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো তথ্য জানায়নি ফায়ার সার্ভিস। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাবির হল থেকে পানি নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। তবে চাপ কম থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটছে।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ইউনিটের গাড়ির সঙ্গে আসা পানি অনেক আগেই শেষ। পরে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের পুকুর থেকে পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। তবে পানির চাপ অনেক কম। মাঝখানে ১০ মিনিট পানি ছিটানোর কাজ অনেক ব্যাহত হয়েছিল। এখন পানি দেওয়ার কাজ চললেও প্রেসার অনেক কম, তাই নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটছে। এছাড়া আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় আরও সমস্যা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগুনের কারণে ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে গেছে বঙ্গবাজারের আকাশ। ভয়াবহ এ আগুনের কারণে প্রচণ্ড তাপ অনুভূত হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মার্কেটের চার দিক থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। তবে বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। অন্যদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ব্যবসায়ীরা যতটুকু সম্ভব তাদের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা মালামালগুলো রাস্তায় জড়ো করছেন।


জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেষ সম্বল রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা

রাজধানীর বঙ্গবাজারে লাগা ভয়াবহ আগুনের মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আশপাশের ভবন থেকে মালপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবাজারের এনক্সকো ভবনের কয়েকটি তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ৫ম তলায় দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা গেছে আগুন। অন্যান্য তলায়ও আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। বিকট শব্দ হচ্ছে এবং এসি ব্লাস্ট হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এরমধ্যেও ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা মালামাল সরানো জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেষ সম্বলটুকু রক্ষা করার চেষ্টা তাদের। ভবনে প্রবেশ করে মালপত্র বস্তায় বেঁধে সরাতে দেখা যায় তাদের।

জানতে চাইলে ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, কিছু করার নেই, ঝুঁকি হলেও অন্তত কিছু রক্ষা করতে হবে। আমরা পথে নেমে গেলাম। আগুনে সব শেষ করে দিলো। দোকানের এক কর্মচারী বলেন, মালিকের নির্দেশে কিছু কিছু জিনিস সরিয়ে ফেলেছি। বেশি কিছু মনে হয় সরাতে পারব না। আগুনের তীব্রতা অনেক বেশি।

সকাল ৬টা ১০ মিনিটে লাগা বঙ্গবাজারের আগুন দীর্ঘ চার ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। বঙ্গবাজারের টিনশেড দোতলা মার্কেট পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনো দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। নিঃস্ব হয়ে গেছেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী।

এদিকে বঙ্গবাজারের চারপাশে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও বিজিবির ফায়ার ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ধ্বংসস্তূপ বঙ্গবাজার, জ্বলছে আশপাশের ভবনও

দীর্ঘ তিন ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বঙ্গবাজরের ভয়াবহ আগুন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ৫০ ইউনিট কাজ করছে। বঙ্গবাজারের টিনশেড দোতলা মার্কেট পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনো দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা।

এদিকে বঙ্গবাজারের চারপাশে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিটের পাশাপাশি কাজ করছে সেনা, নৌ, বিমান ও বিজিবির ফায়ার ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, বঙ্গবাজারে ছোট-বড় মিলিয়ে তিন হাজারের বেশি দোকান রয়েছে। প্রায় সবগুলো দোকানই কাপড়ের। সবগুলো দোকানই পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।

বঙ্গবাজার লাগোয়া এনক্সকো ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পাঁচতলা ওই ভবনে কয়েকটি তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ৫ম তলায় দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা গেছে আগুন। ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা মালামাল সরানো জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেষ সম্বলটুকু রক্ষা করার চেষ্টা করছেন তারা।

আবদুর রশিদ নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ব্যাংক লোন নিয়ে ঈদ উপলক্ষ্যে দোকানে মাল তুলেছিলেন। কিন্তু স্মরণকালের ভয়বহ আগুন তাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। তিনি বলেন, গতকাল রাতেই মাল এসেছে দোকানে। এখন সব পুড়ে শেষ হয়ে গেল। একেবারে পথে বসে গেলাম।

এদিকে ঘটনাস্থলে বেশ ভিড় করছে উৎসুক জনতা। কয়েক হাজার জনতার ভিড় সামলাতে আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদ্যদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। ভিড়ের কারণে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে। ফায়ার ফাইটার আলতাফ হোসেন জানান, উৎসুক জনতার জন্য কাজ করা কিছুটা কঠিন। তাদের জন্য ব্যবসায়ীরা মালামালও সরাতে পারছেন না ঠিকমতো পুলিশ সদস্য মাহমুদ জানান, আমরা চেষ্টা করছি উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দিতে। তাদের জন্য কাজ করা কঠিন। 

বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন, আশপাশের সড়কে বন্ধ যান চলাচল

রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ওই এলাকার সড়কে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল। বঙ্গবাজার মার্কেট এলাকায় ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আগুন নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ড জোরদার রাখতে এবং ফায়ার সার্ভিসসহ অংশ নেওয়া বিভিন্ন বাহিনীর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট এলাকার যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক লালবাগ বিভাগের লালবাগ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জয়িতা দাস।

তিনি বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় অর্ধশত ইউনিট। এছাড়া বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করছে। জানা গেছে, হাইকোর্ট থেকে গুলিস্তান, হাইকোর্টের দিকে থেকে বঙ্গবাজার, নর্থ সাউথ রোডের দিক থেকেও বঙ্গবাজারের দিকের রাস্তা বন্ধ আছে। গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, ফুলবাড়িয়া, নাজিরা বাজার, আনন্দবাজার সড়ক থেকেও যান চলাচল বন্ধ আছে। এছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের সড়ক থেকে ঢাকা মেডিকেল পর্যন্ত কোনো কোনো সড়কে যান চলাচল বন্ধ, কোথাও নিয়ন্ত্রণ ও সীমিত করা হয়েছে।

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আশপাশের এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই ট্রাফিক নির্দেশনা বহাল থাকবে। এলাকায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষ ও যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে। এদিকে, বঙ্গবাজারে লাগা আগুন এখনো বাড়ছে। ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৪৭টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মার্কেটের চার দিক থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। বঙ্গবাজার মার্কেটে লাগা আগুন পাশের এনেক্সকো টাওয়ারেও ছড়িয়ে পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, আগুনের কারণে ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে গেছে বঙ্গবাজারের আকাশ। ভয়াবহ এ আগুনের কারণে প্রচণ্ড তাপ অনুভূত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুনের তীব্রতা বাড়ছে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে, বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় ফায়ার সার্ভিসের যত ইউনিট আছে সব ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বলেন, প্রয়োজন হলে সব ইউনিট কাজ করবে, না হলে চলে আসবে।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আর ৬টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া হতাহতের কোনো খবরও পাওয়া যায়নি।

সর্বাধিক পঠিত